রবীন্দ্রনাথ খুব বিচলিত হয়ে এই কথা লিখেছিলেন। তখন কবি জানতেন না কি দিন আসছে। কথাটা মনে পড়ল কারণ প্যারিসের ঘটনার পর একজন স্ত্রী হারানো স্বামী লিখেছেন তিনি সন্ত্রাসকারী দের কে তাঁর ঘৃণা উপভোগ করতে দেবেন না। তিনি জানেন এরা চায় মানুষ ভয় পাক, ঘৃণা করুক, উনি তা সফল হতে দেবেন না। এই কথা বলতে এবং কাজে পরিনত করতে প্রচন্ড মনের জোর লাগে, খুব কম মানুষেরই সেই জোর আছে। কবি ক্ষমা করতে পারেননি তাদের যারা তাঁর আলো নেভাচ্ছিল এবং বায়ু বিষাক্ত করছিল।
আজকে আমাদের সামনে এক অদ্ভুত অবস্থা তৈরী হয়েছে। আজ যারা আলো নেভাচ্ছে, বায়ু বিষাক্ত করছে তাদের কোনো অপাত্ দাবী নেই, মৃত্যুর পরোয়া নেই। তারা মেরে আর মরে খুশি। এমন অবস্থা ইতিহাস আগে দেখেছে বলে আমার জানা নেই। এদের সঙ্গে আপোষ করার কিছু নেই কারন এরা কিছু চাইছে না। এরা কোন বাছবিচার করছেনা কে মরল কে বাঁচলো। তাই সারা বিশ্ব ভেবে পাচ্ছেনা কি করে এদের থামানো যাবে। অনেক এই বলছে এদের নিঃশেষ করতে হবে। ভালো কথা, কিন্তু ঠিক কি ভাবে তা হবে? পরশুরাম ২১ বার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন তাতেও কাজ হয় নি। তাই মনে হয় শেষ করব বললেই শেষ হয় না। যুদ্ধ শেষ করার শেষ যুদ্ধ বলে কিছু হয় না। আসলে মানুষ স্বভাবত ক্ষমতালোভী। নিজের সুবিধার্থে, বাঁচার তাগিদে সমাজ বানিয়ে একত্রে থেকেছে, কিন্তু যেই একটু সুবিধা হয়েছে ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে অন্যদের থেকে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। তারপর অন্যরা বাধা দিয়েছে ব্যস ধুন্ধুমার লেগে গেছে। এ থামার নয়। তাই যারা শান্তির বাণী নিয়ে এসেছেন তাঁদের ব্যর্থ নমস্কারেই ফেরাতে হবে।
আমার মনে হয় আমাদের কাজ করতে হবে এটা ধরে নিয়ে যে মানুষ স্বভাবত হিংস্র, তারা ক্ষমতা নেবার চেষ্টা করবেই, তারা স্বভাবতঃ অত্যাচারী, তা যদি করি তাহলে হয়ত শেষ অবধি একটা রাস্তা বের হবে যেখানে লোকে ঠিকমত থাকতে পারবে।
আজকে আমাদের সামনে এক অদ্ভুত অবস্থা তৈরী হয়েছে। আজ যারা আলো নেভাচ্ছে, বায়ু বিষাক্ত করছে তাদের কোনো অপাত্ দাবী নেই, মৃত্যুর পরোয়া নেই। তারা মেরে আর মরে খুশি। এমন অবস্থা ইতিহাস আগে দেখেছে বলে আমার জানা নেই। এদের সঙ্গে আপোষ করার কিছু নেই কারন এরা কিছু চাইছে না। এরা কোন বাছবিচার করছেনা কে মরল কে বাঁচলো। তাই সারা বিশ্ব ভেবে পাচ্ছেনা কি করে এদের থামানো যাবে। অনেক এই বলছে এদের নিঃশেষ করতে হবে। ভালো কথা, কিন্তু ঠিক কি ভাবে তা হবে? পরশুরাম ২১ বার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন তাতেও কাজ হয় নি। তাই মনে হয় শেষ করব বললেই শেষ হয় না। যুদ্ধ শেষ করার শেষ যুদ্ধ বলে কিছু হয় না। আসলে মানুষ স্বভাবত ক্ষমতালোভী। নিজের সুবিধার্থে, বাঁচার তাগিদে সমাজ বানিয়ে একত্রে থেকেছে, কিন্তু যেই একটু সুবিধা হয়েছে ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে অন্যদের থেকে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। তারপর অন্যরা বাধা দিয়েছে ব্যস ধুন্ধুমার লেগে গেছে। এ থামার নয়। তাই যারা শান্তির বাণী নিয়ে এসেছেন তাঁদের ব্যর্থ নমস্কারেই ফেরাতে হবে।
আমার মনে হয় আমাদের কাজ করতে হবে এটা ধরে নিয়ে যে মানুষ স্বভাবত হিংস্র, তারা ক্ষমতা নেবার চেষ্টা করবেই, তারা স্বভাবতঃ অত্যাচারী, তা যদি করি তাহলে হয়ত শেষ অবধি একটা রাস্তা বের হবে যেখানে লোকে ঠিকমত থাকতে পারবে।